বিজ্ঞাপন
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের গোসাইবাড়ি বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শেরপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদক কেনার টাকার যোগান দিতে সুমন ও তার দুই সহযোগী মিলে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। নিহত আবু বক্কর তাদের বন্ধু হওয়ায় মাঝে মাঝে তার অটোরিকশা রিজার্ভ নিত। এ সুবাধে তারা আগে থেকেই জানতো, সম্প্রতি আবু বক্কর নতুন ব্যাটারি কিনেছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে তারা ধুনটমোড় থেকে অটোরিকশা ভাড়া করে শেরপুর ও ধুনট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে। পরে মির্জাপুর থেকে চার বোতল বাংলা মদ কিনে এক বোতলে ঘুমের ওষুধ মেশায়। বিকেলে বথুয়াবাড়ি ব্রিজের পাশের বালুচরে বসে সবাই একসাথে মদ পান করে। এ সময় আবু বক্করকে ঘুমের ওষুধ মেশানো মদ পান করানো হয়।
পুলিশ জানায়, অচেতন হয়ে পড়লে ওই রাত ১০টার দিকে সুমনসহ তিনজন মিলে বাগড়া এলাকার পুকুরপাড়ে নিয়ে আবু বক্করকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভোরে চান্দাইকোনার দিকে যাওয়ার সময় ঘোগা বটতলায় অটোরিকশার চার্জ শেষ হয়ে যায়। পরে তারা অটোরিকশা ফেলে দিয়ে ব্যাটারি ও চাকা খুলে নেয়। চাকা বিক্রি করলেও নতুন ব্যাটারি বিক্রি করতে গিয়ে কাগজপত্র না থাকায় সেটিও বিক্রি সম্ভব হয়নি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বাগড়া পুকুর থেকে লাশ উদ্ধারের পর শেরপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জল হোসেন ও এসআই বিকাশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেন। এসময় সুমনকে গ্রেফতার করা হলেও অন্য দুই আসামিকে ধরতে ঢাকা ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হলেও তাদের গ্রেফতার সম্ভব হয়নি।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, “হত্যা মামলার আসামি সুমনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...