Logo Logo

জান্তার বিমান হামলায় মিয়ানমারে ১৯ শিক্ষার্থী নিহত


Splash Image

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ১৯ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


আরাকান আর্মির (এএ) বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পর কিয়াউকতাও শহরের দুটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিমান হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। এ সময় ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এতে ১৯ জন নিহত ও আরও ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও জানিয়েছে, জান্তার একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবন লক্ষ্য করে ৫০০ পাউন্ডের দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলেই বহু শিক্ষার্থী প্রাণ হারান।

এএ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের মতোই শোকাহত।” গোষ্ঠীটি হামলার জন্য সরাসরি জান্তা বাহিনীকে দায়ী করেছে। তবে এ বিষয়ে জান্তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, “শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে হামলা রাখাইনে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ। জান্তার এই ধরনের হামলায় শিশু ও তাদের পরিবারগুলোকে চড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে।”

রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। গত এক বছরে রাখাইনের উল্লেখযোগ্য অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এএ। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে প্রায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে। তবে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর সংঘাত নতুন মাত্রা পায়।

সে বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের নেতৃত্বে অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর দেশজুড়ে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ২০২২ সালে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে যোগ দেয়। একই বছর বেশিরভাগ বিদ্রোহী গোষ্ঠী সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টে (নাগ) একীভূত হয়।

২০২৩ সালের মধ্যে জান্তা দেশের কয়েকটি সীমান্তবর্তী এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারায়। এর মধ্যে ভারত ও চীনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলও রয়েছে।

বর্তমানে রাখাইন সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, জান্তা বাহিনী শুধু বিমান হামলাই নয়, কামানের গোলাও ছুড়ছে বেসামরিক এলাকায়। তবে কিয়াউকতাও অঞ্চলে ইন্টারনেট ও ফোন সেবা সীমিত থাকায় সেখানকার পরিস্থিতির সরাসরি খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...