বিজ্ঞাপন
গাজা সিভিল ডিফেন্স জানায়, কেবল গাজা সিটিতেই অন্তত ছয় হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, “গাজা শহরের মানুষ এখন চরম দুর্দশায় রয়েছে। টানা অবরোধ আর বোমাবর্ষণের মধ্যে তারা দিন কাটাচ্ছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী দ্রুত ও ঘনঘন হামলা চালাচ্ছে, যেন পুরো শহর দখলের পথ সুগম হয়। আতঙ্ক ছড়াতে এবং বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করতে বিমান থেকে লিফলেটও ছোড়া হয়েছে।
আল-জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট অন্তর যুদ্ধবিমান ভবনে বোমা ফেলছে। তাঁর মতে, হামলার ধরণ ও গতি দেখে স্পষ্ট যে, ইসরায়েলি সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় চাপ সৃষ্টি করছে।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, বাসিন্দারা শহরের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে পালাচ্ছেন। তবে খুব কম মানুষ দক্ষিণে পৌঁছাতে পারছেন। যারা দক্ষিণে যাচ্ছেন, তারাও আল-মাওয়াসি শিবির বা দেইর আল-বালাহতে অতিরিক্ত ভিড় ও অভাবের কারণে আবার গাজা শহরে ফিরে আসছেন।
শনিবারের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হয় জাতিসংঘ পরিচালিত তিনটি স্কুলে, যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল অসংখ্য শরণার্থী। বেঁচে যাওয়া ফিদা জাআনিন নামের এক নারী জানান, “আমরা জিনিসপত্র বাইরে রেখেই ছিলাম। মিনিটখানেক পরই স্কুলে বোমা পড়লো। এখন আমরা খালি হাতে, তাঁবুতে বসে আছি।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিজনিত কারণে আরও সাতজন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে শিশু রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহার ও অপুষ্টিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২০—এর মধ্যে ১৪৫ জন শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬৩ হাজার মানুষ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...