বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর আন্তঃবিভাগ সংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআরের তথ্যমতে, ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তিন জেলায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে বাজাউরে ২২ জন, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ১৩ জন এবং লোয়ার দিরে ১০ জন।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযানে নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী। এই প্রদেশটি পাকিস্তানের তালেবানপন্থি রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেনা-পুলিশ অভিযানে যারা নিহত হয়েছেন, তারা সকলেই টিটিপির সক্রিয় সদস্য।
২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর কাবুল দখল করে কট্টর ইসলাপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই আফগান সীমান্তবর্তী দুই পাকিস্তানি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদের উল্লম্ফন লক্ষ্য করা যায়।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল ছিল দেশটির জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ বছর। বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশটিতে ঘটেছে ১৪৪টি ছোট-বড় সন্ত্রাসী হামলা। গত এক দশকের তুলনায় ২০২৪ সালে সন্ত্রাসী হামলার হার ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮৫ জন সেনা ও ৯২৭ জন বেসামরিক মানুষ। বিপরীতে, একই বছরে সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছে ৯৩৪ জন সন্ত্রাসী।
পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবাদ দমন ও নিরাপত্তা দৃঢ় করতে অভিযানে জোর দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর এই ধরনের অভিযান এখন নিয়মিতভাবে চালাতে হবে, যাতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের উত্থান নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...