বিজ্ঞাপন
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্ত শপিংমল, বাড়ি এবং অন্যান্য ভবন থেকে মৃতদেহ উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রকাশ বুদাথোকি বলেন, “শপিংমল, বাড়ি এবং অন্যান্য স্থানে আগুন লাগানো বা আক্রমণের শিকার হওয়া অনেকের মৃতদেহ এখন পাওয়া যাচ্ছে।”
মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, কয়েক দশকের মধ্যে নেপালে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতায় কমপক্ষে ২,১১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অস্থিরতার সময় অনেক সরকারি ও ব্যক্তিগত ভবন ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। এতে সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন, পুলিশ পোস্ট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল ও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা-এর ব্যক্তিগত বাড়িসহ রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন সম্পদে আগুন লাগানো হয়েছে।
নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অস্থির: গত সপ্তাহে পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী অলি-এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি, যিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি আগামী বছরের ৫ মার্চ নতুন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই বিক্ষোভ নেপালে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুরু হলেও দ্রুত হিংসাত্মক সংঘাতে রূপ নিয়েছে, যা দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...