Logo Logo

উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির লক্ষ্যে আত্মগোপনে যাওয়া ছাইদুলকে উদ্ধার


Splash Image

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক ছাইদুল ইসলাম (২৫) আত্মগোপনের ঘটনায় জেলা পুলিশ তার নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করেছে।


বিজ্ঞাপন


রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) এবিএম ফয়জুল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর ছাইদুলের পিতা শফিকুল ইসলাম সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিখোঁজের তদন্ত শুরু করে। তদন্তের পর প্রাপ্ত তথ্য ও অপরাধ গোয়েন্দা উপাত্তের বিশ্লেষণের মাধ্যমে ছাইদুলকে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে সৈয়দপুর থানাধীন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সাথী ফার্মেসীর সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্তৃত তদন্ত ও মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে যে, ছাইদুল শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে কয়েকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে আত্মগোপনে যায়। এছাড়াও, ইপিজেডের এভারগ্রীন কোম্পানির বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে এবং ৫০০০ টাকা গ্রহণ করার তথ্য পাওয়া গেছে।

উদ্ধারের পর ছাইদুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, নিজেই এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিখোঁজ হয়। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ছাইদুল দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল এবং ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করতে পারত।

নীলফামারী জেলা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি চলছে। ইপিজেড এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সার্বিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, সদর থানার ওসি এম.এ. সাঈদ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...