Logo Logo

কোটালিপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


Splash Image

কোটালিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জোসনা খাতুন।

কোটালিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্তের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মকাণ্ডে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জোসনা খাতুনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতার কথা জানাচ্ছেন স্থানীয় সচেতন মহল।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় ও প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে, শেখর রঞ্জন ভক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। বরং অভিযোগ রয়েছে, তিনি উল্টো শেখর রঞ্জনের প্রদত্ত মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে বিধি বহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষিকাকে ডেপুটেশনে বদলি করেছেন।

বদলিকৃত শিক্ষিকা ইতি হালদার মাত্র ছয় দিনের মধ্যে ১১৯ নং বান্ধাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মৌখিক ডেপুটেশনের মাধ্যমে সোনাইলবাড়ি আড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যদিও শিক্ষা বিধিতে মৌখিক ডেপুটেশনের কোনো বিধান নেই। তিনি ওই স্থানে দীর্ঘ আড়াই মাস দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকদের সরেজমিন অনুসন্ধানের পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে হঠাৎ একটি অন্তর্বর্তীকালীন ডেপুটেশনের চিঠি সংগ্রহ করা হয়। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এর পাশাপাশি, শেখর রঞ্জন ভক্ত কোটালিপাড়ায় যোগদানের পরপরই প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে ৮৭ নং বাহির শিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিলা রানী সাহাকে অবমুক্ত করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে বাস্তবে কোনো শিক্ষক প্রতিস্থাপন হিসেবে যোগদান করেননি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রেরিত চিঠিতে মিথ্যা তথ্য প্রেরণের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে একাধিক প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের স্লিপের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে নিয়মিত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে টাকা দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ব্যবহার করেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি তা অপরাধ মনে করেননি।

কোটালিপাড়ার সচেতন মহল মনে করছেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির পেছনে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জোসনা খাতুনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তার হাত রয়েছে। তারা দ্রুত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...