বিজ্ঞাপন
আইইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বর্তমানে বিশ্বের স্থলভাগে প্রায় ১৫ হাজার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের খনি রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই খনিগুলো থেকে জ্বালানি সম্পদ উত্তোলনের ফলে এসব খনির ৯০ শতাংশের মজুত দ্রুত হারে কমছে। অদূর ভবিষ্যতে এসব খনির মজুত সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মজুত কমার কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৫৫ লাখ ব্যারেল তেল এবং ১৮,০০০ কোটি থেকে ২৭,০০০ কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস কম উত্তোলন হচ্ছে।
আইইএ’র নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরোল এক বিবৃতিতে বলেন, “বিশ্ব এখনও অনেকাংশে তেল এবং গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। স্থলভাগের খনিগুলোর মজুত যদি এভাবে ফুরিয়ে যেতে থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেবে। সমুদ্রের তলদেশে খনি অনুসন্ধান বেশ সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাপেক্ষ। এছাড়া, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনেও বিশ্ব এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিনিয়োগ অপরিহার্য। কোম্পানিগুলো যদি স্থলভাগে নতুন খনি অনুসন্ধানে বিনিয়োগ না বাড়ায়, তাহলে আসন্ন সংকট এড়ানো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে।”
আইইএ’র এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্বকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে তেল ও গ্যাসের মজুত হ্রাস এবং ভবিষ্যতের জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...