বিজ্ঞাপন
কমিশনের প্রধান ও প্রাক্তন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারক নাভি পিল্লাই বলেন, “গাজায় গণহত্যা ঘটছে এবং এর দায়ভার ইসরায়েলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের।” তিনি রুয়ান্ডা গণহত্যার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেন, ফিলিস্তিনিদের ‘অমানুষ’ হিসেবে চিত্রিত করে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গণহত্যার সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত পাঁচটি অপরাধের মধ্যে অন্তত চারটি ইতোমধ্যে করেছে ইসরায়েল—
১। পরিকল্পিত হত্যা
২। গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি
৩। জীবনযাত্রার এমন অবস্থা চাপিয়ে দেওয়া যাতে জনগোষ্ঠী ধ্বংস হয়
৪। জন্ম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ভুক্তভোগী ও চিকিৎসকদের সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট চিত্র এবং বিভিন্ন যাচাইকৃত তথ্য।
কমিশন আরও জানায়, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বক্তব্যও গণহত্যামূলক উদ্দেশ্যের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনকে ‘কলঙ্কজনক’ ও ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। দেশটির জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল মেরন অভিযোগ করেন, “হামাসের পক্ষপাতীরা এই প্রতিবেদন রচনা করেছে।” শুরু থেকেই ইসরায়েল কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
বর্তমানে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়ছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে দেশটি। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, পরবর্তী অভিযানে ইসরায়েলের হামলায় ইতোমধ্যে ৬৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং বহু এলাকায় চলছে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ।
জাতিসংঘ এখনো গাজার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেনি। তবে কমিশনের এই বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...