বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা মঙ্গলবার জানায়, জীবিতদের মধ্যে ২৪ জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। আইওএম এক্স পোস্টে জানিয়েছে, সমুদ্রপথে এ ধরনের দুর্ঘটনা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
গত মাসে ইয়েমেনের উপকূলে শরণার্থীবোঝাই একটি নৌকা ডুবে ৮৬ জন নিহত হয় এবং ডজনখানেক মানুষ নিখোঁজ হয়। এছাড়া গত বছর ভূমধ্যসাগরে সমুদ্রপথে অন্তত ২ হাজার ৪৫২ জন অভিবাসী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আইওএম জানিয়েছে, এই রুটটি শরণার্থীদের জন্য মৃত্যুর “উপত্যকা” হিসেবে পরিণত হয়েছে।
লিবিয়ায় বর্তমানে কমপক্ষে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫ জন অভিবাসী অবস্থান করছেন। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর দেশটি ইউরোপে অভিবাসন রুট হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। গাদ্দাফির শাসনামলে তেল সমৃদ্ধ এই দেশে অনেক আফ্রিকান অভিবাসী কাজের সন্ধানে যেতেন। তবে তার পতনের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
গত আগস্টে দক্ষিণাঞ্চলীয় ইতালিয়ান দ্বীপ ল্যামপেদুসার কাছে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া গত জুনে লিবিয়ার উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ৬০ জন নিখোঁজ হয়।
অধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘ জানিয়েছে, লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও মারধর। এনজিওগুলো আরও জানায়, রাষ্ট্র পরিচালিত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হয়ে থাকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের জন্য ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...