Logo Logo

বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে এশিয়ার আরেক দেশ


Splash Image

পূর্ব তিমুরে সরকারের সংসদ সদস্যদের জন্য নতুন গাড়ি কেনার পরিকল্পনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। তীব্র প্রতিরোধ ও জনসমর্থনের মুখে দেশটির সরকার দ্রুত এই পরিকল্পনা বাতিল করেছে।


বিজ্ঞাপন


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রাজধানী দিলির রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখিয়েছে। এ সময় সরকারি একটি গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। জনসমুদ্রে নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।

সরকারের এই ঘোষণা বাতিলের পরও বুধবার রাজধানীতে প্রায় ২ হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে বিভিন্ন ধরনের দাবী-দাওয়া উত্থাপন করেছেন। প্রাথমিকভাবে এমপিদের জন্য নতুন গাড়ি প্রদানের পরিকল্পনা ঘিরে আন্দোলন শুরু হলেও পরে বিক্ষোভকারীরা সাবেক এমপিদের আজীবন পেনশন বাতিলসহ আরও বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক দাবী তুলেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বিবিসিকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তিনি কাঁদানে গ্যাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জনগণ কষ্টে আছে, অথচ এমপিরা বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে চায়।”

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ২০২৩ সালের তথ্যানুসারে, পূর্ব তিমুরের এমপিদের বার্ষিক মূল বেতন ৩৬,০০০ মার্কিন ডলার, যা দেশের গড় আয়ের (প্রায় ৩,০০০ ডলার) চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।

দেশটিতে এমপিদের জন্য গাড়ি কেনার পরিকল্পনা নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরে এই বিষয়ে নিয়মিত বিক্ষোভ হচ্ছে। ২০০৮ সালে এমপিদের জন্য ১০ লাখ ডলার ব্যয়ে গাড়ি কেনার পরিকল্পনার প্রতিবাদে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া সিজারিও সিজার বলেন, “মানুষ অনেক সমস্যার মধ্যে আছে—শিক্ষা, পানি, স্যানিটেশন—কোনও কিছুতেই যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা নেই। অথচ এমপিরা নিজেদের স্বার্থে আইন বানাচ্ছে। আমরা এটাকে অন্যায় মনে করি।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে এমপিদের কাছে সরকারি গাড়ি আছে এবং সেগুলো এখনও ভালো অবস্থায়। তারপরও নতুন টয়োটা প্রাডো এসইউভি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব তিমুরের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি বয়স ৩৫ বছরের নিচে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দরিদ্র রাষ্ট্র হলেও দেশটিকে গণতন্ত্রের উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

দেশটির সাবেক মন্ত্রী ও ইনস্টিটিউট অব পলিটিকস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট ফিদেলিস লেইটে মাগালহায়েস বিবিসিকে বলেছেন, “এখানে মানুষ জানে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করাটা স্বাভাবিক। দিলিতে সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...