Logo Logo

গাজার পথে পথে ক্লান্ত শিশুদের আর্তনাদ

গাজায় হাসপাতালের শেষ ভরসাও নিঃশেষের পথে: জ্বালানি টিকবে মাত্র ৭২ ঘণ্টা


Splash Image

ইসরায়েলের তাণ্ডবে গাজা রণক্ষেত্র: নিহত ৪৩, ক্ষুধায় মরছে শিশু

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের নজিরবিহীন বোমাবর্ষণে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৪৩ জন। অনাহার ও চিকিৎসা সংকটে প্রতিদিনই বাড়ছে শিশুদের মৃত্যু। গাজার মানবিক বিপর্যয় এখন চরমে।


বিজ্ঞাপন


গাজা সিটিতে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ বোমাবর্ষণে শুধু একদিনেই অন্তত ৪৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ২৬ জন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদরেয়ি আরবি ভাষায় প্রচারিত বার্তায় গাজার মানুষকে সতর্ক করে বলেন, সেনারা এবার “অভূতপূর্ব শক্তি” প্রয়োগ করবে। তিনি উত্তরাঞ্চলের জনগণকে দক্ষিণ দিকে সরে যেতে আহ্বান জানালেও সেই যাত্রা মোটেও সহজ নয়। দক্ষিণে যাওয়ার একমাত্র রুট আল-রাশিদ উপকূলীয় সড়কে হাজার হাজার মানুষ জীবন বাঁচাতে ভিড় করছেন।

অসহায় মানুষেরা কেউ ভাড়া করতে না পারায় পায়ে হেঁটেই দীর্ঘপথ পাড়ি দিচ্ছেন। অনেকেই শুধু পরিবারের সদস্য ও অল্প কিছু জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে ঘর ছেড়ে যাচ্ছেন। পথে ক্লান্তিতে শিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়ছে, আবার অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জাতিসংঘের হিসাবে যুদ্ধ শুরুর আগে গাজা সিটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস করছিল। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যেই পালাতে বাধ্য হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এখনো প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার মানুষ উত্তর গাজায় আটকা পড়ে আছে।

অন্যদিকে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। শুক্রবার আল-আকসা মার্টিয়ার্স হাসপাতালে নয় বছরের এক শিশু তীব্র অপুষ্টিতে মারা গেছে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত খাদ্য সংকটজনিত মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪১ জনে।

জ্বালানি সংকটও পরিস্থিতিকে অচল করে দিচ্ছে। ফিলিস্তিনি এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়া জানিয়েছেন, টানা ১০ দিনের বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো জ্বালানি প্রবেশ করেনি। হাতে থাকা সামান্য মজুদও সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা চলবে। এরপর হাসপাতালসহ সব জরুরি সেবা ভয়ঙ্কর সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

গাজার মানুষ আজ শুধু বোমা নয়, ক্ষুধা ও মৃত্যুর মধ্যেও বাঁচার লড়াই চালাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...