Logo Logo

গাজা সিটিতে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা

গাজা সিটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত, আশ্রয়হীন সাড়ে চার লাখ মানুষ


Splash Image

ইসরায়েলি বোমায় মৃত্যু ও ধ্বংসের ছাপ, পালাচ্ছে লাখো মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনাদের টানা বোমাবর্ষণে গাজা সিটিতে একদিনেই ৭৬ জনসহ পুরো গাজায় অন্তত ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে গাজার প্রধান নগরী।


বিজ্ঞাপন


গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া হামলায় শুধু গাজা সিটিতেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৬ জন। পুরো গাজা উপত্যকাজুড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ জনে। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ সময় একের পর এক বহুতল ভবন ধসে পড়ছে। শুধু গত দুই সপ্তাহেই শহরের অন্তত ২০টি টাওয়ার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ গাজা সিটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। যারা পালানোর চেষ্টা করছে, তাদের ওপরও আক্রমণ চালানো হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে নিশানা করা হচ্ছে। প্রতিটি বিস্ফোরণে পুরো শহর কেঁপে উঠছে।

শহরের তুফাহ এলাকায় ড্রোন হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হন। আর শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে এক দমকা হামলায় মারা যান পাঁচজন, যাদের মধ্যে দুই শিশু ছিল।

এদিকে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস শনিবার দাবি করেছে, তাদের হাতে আটক ৪৮ জন ইসরায়েলি বন্দির একটি “শেষ ছবি” প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি হামলা বাড়লে এসব বন্দির জীবন আরও ঝুঁকিতে পড়বে।

অন্যদিকে দক্ষিণ গাজার রাফাহে একটি ত্রাণকেন্দ্রের সামনে গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। ইসরায়েল যে আল-মাওয়াসি এলাকাকে “নিরাপদ অঞ্চল” ঘোষণা করেছে, সেখানে হাজারো মানুষ এখন অমানবিক পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ডাক্তারস উইদাউট বর্ডারস (MSF)-এর কর্মকর্তা মিখাইল ফোটিয়াডিস বলেছেন, আল-মাওয়াসির দৃশ্য “হৃদয়বিদারক”। তিনি জানান, “মানুষজন তাঁবু খাটানোর জায়গা খুঁজছে, কিন্তু উপকরণ নেই। পানির অভাব তীব্র। মানুষ সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থায় আছে।”

গাজার সাধারণ মানুষ ইতোমধ্যে বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রতিবারই তারা নতুন আশ্রয় খুঁজে বাঁচার চেষ্টা করছে। কিন্তু এবার হতাশার শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে তারা।

সূত্র- আল জাজিরা

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...