Logo Logo

আল-আসাদের পর নতুন সূচনা: সিরিয়ার সংসদ নির্বাচন ৫ অক্টোবর

আল-কায়েদা থেকে প্রেসিডেন্ট: আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে নতুন সিরিয়া


Splash Image

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় গণতন্ত্রের পথে প্রথম পদক্ষেপ। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় আসছে ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম সংসদ নির্বাচন। আল-আসাদের পতনের পর এটি দেশটির নতুন রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা করবে। প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সরাসরি এক-তৃতীয়াংশ আসন নিয়োগ করবেন।


বিজ্ঞাপন


সিরিয়ায় আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটি হবে দেশটির প্রথম নির্বাচন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেশের সব নির্বাচনী জেলায়।

মোট ২১০ সংসদীয় আসনের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সরাসরি নিয়োগ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বাকি আসনগুলো নির্ধারণ করবে স্থানীয় কমিটি, যা নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। নতুন সংসদের দায়িত্ব থাকবে দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিকে সংস্কার করা, নতুন আইন প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সিরিয়ার অবস্থান পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি অনুমোদন করা।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই নির্বাচন সিরিয়ায় “বিস্তৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভিত্তি স্থাপন” করবে। তবে সমালোচকরা মনে করেন, বর্তমান কাঠামো দেশটির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।

প্রথমে সেপ্টেম্বরে ভোটের কথা থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে সুয়াইদা, হাসাকা ও রাক্কা প্রদেশে ভোট বিলম্বিত হতে পারে, কারণ এসব অঞ্চলে সংঘর্ষ ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের প্রভাব বজায় রয়েছে।

গত মার্চে প্রেসিডেন্ট শারার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সাংবিধানিক ঘোষণা জারি করে। এতে ইসলামি শরিয়াহ আইনকে কেন্দ্রীয় স্থান দেওয়া হলেও নারীর অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে। তবে বিরোধীরা বলছে, এই কাঠামো আবারও অতিরিক্ত ক্ষমতা রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে কেন্দ্রীভূত করছে।

আহমেদ আল-শারা, যিনি একসময় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর কমান্ডার ছিলেন, বর্তমানে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। তিনি সম্প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যমে জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপ “অপরিহার্য”, তবে যেকোনো চুক্তি অবশ্যই সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখবে এবং ইসরায়েলের বিমান হামলা বন্ধ করবে।

সূত্র- আল জাজিরা

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...