বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানায়, বেন্ত জবেইলের একটি মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক একই পরিবারের চারজন রয়েছেন—তিন শিশু সেলিন, হাদি ও আসিল এবং তাদের বাবা। শিশুদের মা হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত বছরের নভেম্বর থেকে মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই হামলায় হিজবুল্লাহর একজন সদস্য নিহত হয়েছে। তবে তারা বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানির বিষয়টিও স্বীকার করেছে। ইসরায়েল প্রায়ই হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে দক্ষিণ লেবাননে বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। তেল আবিবের দাবি, ইরান-সমর্থিত এই সংগঠনটি যাতে পুনরায় সামরিক শক্তি গড়ে তুলতে না পারে, সেজন্যই এসব অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। গত যুদ্ধেই হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতৃত্বের বেশিরভাগ নিহত হয়েছিল, যার মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রধান হাসান নাসরাল্লাহও ছিলেন।
এই হত্যাযজ্ঞের পর লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “লেবাননের শিশুরাই কি ইসরায়েলের জন্য অস্তিত্ব সংকট তৈরি করছে? নাকি বিনা জবাবদিহিতায় বেসামরিক মানুষ হত্যা করাই আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আসল হুমকি?”
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম এ হামলাকে “নতুন হত্যাযজ্ঞ” আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটি একটি নৃশংস অপরাধ, দক্ষিণে নিজ গ্রামে ফিরে আসা মানুষদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।” তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানাতে আহ্বান জানান।
লেবাননের শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ হায়দার অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে দক্ষিণাঞ্চলে ফিরে আসা সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে। তিনি বলেন, “এই পরিকল্পনা সফল হবে না, কারণ দক্ষিণের মানুষের ইচ্ছাশক্তি অপরাধীর শক্তির চেয়ে বেশি শক্তিশালী।”
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবসহ লেবাননের অভ্যন্তরে হিজবুল্লাহবিরোধী গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটিকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। চলতি মাসের শুরুতে লেবানন সেনাবাহিনী সরকারকে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার একটি পরিকল্পনাও উপস্থাপন করে। তবে হিজবুল্লাহ স্পষ্ট জানিয়েছে, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালানো এবং সীমান্তের অংশ দখল করে রাখা অব্যাহত রাখায় তারা কোনোভাবেই অস্ত্র পরিত্যাগ করবে না।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...