বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরাহ উপত্যকার মাত্রে দারা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাকিস্তানি বিমানবাহিনী অভিযানে এলএস-৬ ধরণের ৮টি বোমা নিক্ষেপ করে। হামলার পর গ্রামটির বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করছে স্থানীয় উদ্ধারকারী দল। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সংস্থাটি সতর্ক করেছে।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের আঞ্চলিক উপপরিচালক ইসাবেলে ল্যাসি এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদ এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা— দু’টি ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের পারফরম্যান্স হতাশাজনক।”
খাইবার পাখতুনখোয়া পাকিস্তানের তালেবানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বহু বছর আগে গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইসলামাবাদ।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই অঞ্চলে টিটিপির তৎপরতা বেড়েছে। রাজ্য পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় মোট ৬০৫টি ছোট-বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৭৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য। আহত হয়েছেন কয়েক শত বেসামরিক, পুলিশ ও সেনাসদস্য। শুধু গত আগস্ট মাসেই রেকর্ড ১২৯টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে সোমবারের বিমান হামলার পর পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বোমা বিস্ফোরণের পরপরই গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...