বিজ্ঞাপন
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে শহরের বিভিন্ন অংশে, যেমন বেনিয়াপুকুর, কালিকাপুর, নেতাজি নগর, গড়িয়াহাট, ইকবালপুর, বেহালা এবং হরিদেবপুর।
প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। মেট্রো এবং শহরতলির ট্রেন পরিষেবাও থমকে গেছে। নিচু এলাকায় অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে, এবং ব্যাপক সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েকটি স্কুল ইতিমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে।
কলকাতা পৌরসভার তথ্যানুযায়ী, শহরের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টির প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। গড়িয়া কামদাহারি এলাকায় কয়েক ঘণ্টায় ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া যোধপুর পার্কে ২৮৫ মিলিমিটার, কালীঘাটে ২৮০ মিলিমিটার, তোপসিয়ায় ২৭৫ মিলিমিটার এবং বালিগঞ্জে ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে এই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে এবং আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দুর্গাপূজার কয়েক দিন আগে এই টানা বৃষ্টিপাত শহরের উৎসব প্রস্তুতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। যদিও বেশিরভাগ পূজামণ্ডপ প্রায় প্রস্তুত, এখন আয়োজকদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো মাসব্যাপী শ্রমে তৈরি মণ্ডপগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা।
জলমগ্ন রাস্তায় আটকে পড়েছেন বিমানবন্দরে ফ্লাইট ধরতে আসা যাত্রীরা। এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো তাদের যাত্রীদের সতর্ক করে জানিয়েছে, ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে। এমনকি রানওয়েতেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। দুই এয়ারলাইন্স যাত্রীদের ফ্লাইটের অবস্থা আগে থেকে জেনে নেওয়া এবং যানজট এড়াতে অতিরিক্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
কলকাতার মেয়র এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “জীবনে কখনো এ ধরনের জলমগ্ন পরিস্থিতি দেখিনি। তবে আশাবাদী, নতুন করে বৃষ্টি না হলে রাতের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।” এদিকে, ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (সিইএসসি) নাগরিকদের জলাবদ্ধ রাস্তায় বিদ্যুতের তার বা খুঁটির কাছ থেকে দূরে থাকার সতর্কতা দিয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...