বিজ্ঞাপন
গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রয়েছে। ভোর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ১৮ জন গাজা শহরে এবং বাকি চারজন অন্যত্র।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে, জ্বালানি সংকটের কারণে হাসপাতালগুলোতে কয়েক দিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে রোগীরা পড়বেন নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকিতে।
ইসরায়েলের অবরোধজনিত জ্বালানি সংকটে সাধারণ মানুষও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। অনেকে বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে বিষাক্ত জ্বালানি তৈরি করছে। তবে এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় চালকরা জানান, এক লিটার আসল জ্বালানির দাম প্রায় ১৫০ ডলার, যা তাদের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, দক্ষিণ গাজায় তিন শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে মারা গেছে। খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যেই প্রতিদিন প্রাণহানি বাড়ছে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘটনায় ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে আরও একঘরে হয়ে পড়ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। মধ্যপ্রাচ্য নীতি বিশেষজ্ঞ আদেল আবদেল গাফার বলেন, এই স্বীকৃতি ইসরায়েলকে তিনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে উস্কে দিতে পারে— পশ্চিম তীরে জমি দখল বাড়ানো, কূটনৈতিক সম্পর্ক কমানো অথবা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জাতিসংঘ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন, যা ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়েছে।
এদিকে, গাজা শহরে স্থল অভিযানে ইসরায়েলি সেনারা আরও ভেতরে প্রবেশ করছে। বহু পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যাচ্ছে, যদিও অনেকে চরম ব্যয়ের কারণে স্থানান্তরিত হতে পারছেন না।
প্রতিদিনের মতো গাজার আকাশে বোমা, ধ্বংসস্তূপের ভেতর কান্না আর দক্ষিণমুখী মানুষের ঢল— এভাবেই চলছে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
সূত্র- আল জাজিরা
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...