বিজ্ঞাপন
হুয়ালিয়েনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লি কুয়ান-তিং বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে রাগাসা সরাসরি হুয়ালিয়েন উপকূলে আঘাত হানে। “আমাদের ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী বাহিনীর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের আঘাতে এ পর্যন্ত হুয়ালিয়েনে ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৮ জন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন,” বলেন তিনি।
পরে এক বিবৃতিতে তাইওয়ান ফায়ার সার্ভিস নিখোঁজের সংখ্যা হালনাগাদ করে ১২৪ জন বলে জানায়। প্রবল বর্ষণে জেলার একটি হ্রদের বাঁধ ভেঙে পুরো শহর পানিতে তলিয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, শহরের বহু এলাকা দো’তলা সমান পানির নিচে ডুবে আছে।
রাগাসার প্রভাবে শুধু তাইওয়ান নয়, দক্ষিণ চীন সাগরের তীরবর্তী হংকং, ফিলিপাইন এবং চীনের গুয়াংডং প্রদেশেও ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার থেকেই হংকংয়ে ১০ নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়। সেখানে এক মা ও তার পাঁচ বছরের শিশু জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছেন। হংকং আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ১৩ ফুটে পৌঁছায়।
ফিলিপাইন, চীন ও তাইওয়ানের আবহাওয়াবিদরা রাগাসাকে “সুপার টাইফুন” আখ্যা দিয়েছেন। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় কাগায়ানের বাতানিজ দ্বীপের উপকূলে আঘাত হানার সময় ঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৩০ কিলোমিটার। ওই দ্বীপ থেকে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের দূরত্ব প্রায় ৭১০ কিলোমিটার।
রোববার থেকেই দক্ষিণ চীন সাগর উপকূলজুড়ে ফিলিপাইন, তাইওয়ান, হংকং ও চীনের গুয়াংডং প্রদেশে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। তবে ফিলিপাইন থেকে এখনও কোনো নিহত বা নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন আবহাওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী, সাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় হারিকেন। যখন কোনো হারিকেন বিপুল এলাকায় গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর মতো শক্তিশালী হয়, তখন তাকে ক্যাটাগরি–৫ হারিকেন বলা হয়। ফিলিপাইন ও চীনের আবহাওয়াবিদরা রাগাসাকে ক্যাটাগরি–৫ হারিকেনের সমপর্যায়ের সুপার টাইফুন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...