বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ট্রাম্পের বৈঠকে তিনিসহ প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উইটকফ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে বলেছেন, “বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আরব নেতাদের সামনে ট্রাম্পের গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ২১ পয়েন্টের পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা মনে করি, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন শুরু হলে গাজায় সহিংসতা বন্ধ হবে এবং ইসরায়েলসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ সমাধান হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা আশা করি, এবং আমি আত্মবিশ্বাসী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা যে কোনো ধরনের অগ্রগতি ঘোষণা করতে পারব।”
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অংশবিশেষ অনুযায়ী ট্রাম্পের পরিকল্পনার কিছু প্রধান পয়েন্ট হলো- গাজায় বন্দি সকল জিম্মির অবিলম্বে মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজার প্রশাসনকে হামাসের প্রভাবমুক্ত করা, পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার।
বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন মার্কিন ও মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিক সিএনএনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন, আরব নেতারা ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। তারা আরও কয়েকটি পয়েন্ট যোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন। সেগুলো হলো- পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধ করা, জেরুজালেমের বর্তমান স্থিতাবস্থা বজায় রাখা, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং সেখানে বন্দি সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি, গাজায় ত্রাণের প্রবেশ অবাধ রাখা।
বৈঠকে উপস্থিত এক কূটনীতিক সিএনএনকে বলেছেন, “একটি অসাধারণ এবং অত্যন্ত কার্যকর বৈঠক হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি বৈশ্বিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের মূল আয়োজক ছিলেন ফ্রান্স এবং সৌদি আরব। এই সম্মেলনের প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্প আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...