বিজ্ঞাপন
একই সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি শান্তি সমঝোতা ‘খুব কাছাকাছি’ বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমি ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেব না... এটা কোনোভাবেই ঘটবে না।” আগামী সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন গাজা যুদ্ধ বন্ধ এবং পশ্চিম তীরে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তীব্রতর হচ্ছে। সম্প্রতি কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোসহ অনেক রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘নৈতিক, আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থি সরকারের ওপর বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, গাজা পরিস্থিতি নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি জানান, নেতানিয়াহুসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য নেতাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তার ভাষায়, “আমরা গাজা নিয়ে সমঝোতার বেশ কাছাকাছি চলে এসেছি, হয়তো শান্তিও হতে পারে।”
অন্যদিকে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বিশ্বনেতাদের প্রতি শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ৮৯ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নেতাকে ভিসা না দেওয়ায় তিনি নিউইয়র্কে সরাসরি অধিবেশনে অংশ নিতে পারেননি। ভাষণে তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান এবং স্পষ্ট করেন যে, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর গাজার পূর্ণ দায়িত্ব ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নেবে এবং সেখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...