বিজ্ঞাপন
শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মরদেহ চাপা পড়ে আছে, কিন্তু পর্যাপ্ত লোকবল ও উদ্ধার সরঞ্জামের অভাবে তাদের বের করা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যার পর পর্যন্ত গত দুই বছরের ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৫৪৯ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৮ জনে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ২৭ মে থেকে খাদ্য ও ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। শুধু শুক্রবার ত্রাণ সংগ্রহের সময় গোলাগুলিতে ৫ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলিতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এর জবাবে একই দিন থেকে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনো চলছে।
গাজায় ইসরায়েলের নিষ্ঠুর সামরিক অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা অব্যাহত রয়েছে। গত নভেম্বরে নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও গ্রহণ করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...