বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাইজদী শহরের বিবি কনভেনশন হল সেন্টারের বহুতল ভবনের ছাদে এই ঘটনা ঘটে। নিহত তিতাস চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার শহীদ চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুল গনির ছেলে।
নিহতের বড় ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, "তিতাস নোয়াখালী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। আমাদের পরিবার চৌমুহনী পৌরসভায় থাকলেও আমরা গত ২০-২৫ বছর ধরে নোয়াখালী জেলা রোডের আক্তার ভবনের তৃতীয় তলায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছি। শনিবার সকালে তিতাস বাসা থেকে বের হয়। দুপুরে তিনি বিবি কনভেনশন হল সেন্টারের ছাদে পৌঁছান। এরপর কে বা কারা তাকে বেধড়ক নির্যাতন করে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা রাস্তায় পড়ে থাকা তিতাসকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।"
তিনি আরও জানান, "নিহতের হাতের তিন জায়গা ভেঙে গেছে, পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং গলায় কাটা আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে আমরা এখনো জানি না কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।"
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের সাংবাদিকদের জানান, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়নি। তবে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে এবং তদন্ত চলছে।"
প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের মধ্যে শোক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...