বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বোচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অস্ত্রের দ্রুত উৎপাদন নিশ্চিত করতে পেন্টাগনের শীর্ষ নেতৃত্ব ও মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের মধ্যে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এর মাধ্যমে উদ্যোগটি কার্যকর করা হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, গত জুনে পেন্টাগনে এক গোলটেবিল বৈঠকে শীর্ষ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহকারীদের ডেকে পাঠানো হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধমন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন। এছাড়া আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজসহ নতুন প্রবেশকারী প্রতিষ্ঠান এবং রকেট প্রোপেলান্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের সরবরাহকারীদের নির্বাহী কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং যুদ্ধমন্ত্রী হেগসেথ আমাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদন ত্বরান্বিত করার জন্য অসাধারণ উপায় খুঁজছেন। এই প্রচেষ্টা প্রতিরক্ষা শিল্পের নেতা এবং পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।”
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের লক্ষ্য সব দিক থেকে বাস্তবসম্মত নয়। ক্ষেপণাস্ত্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে দুই বছর সময় লাগতে পারে। নতুন সরবরাহকারীদের তৈরি অস্ত্র মার্কিন বাহিনীর জন্য যথেষ্ট নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য কি না, সেটিও পরীক্ষা করতে হবে।
অর্থের বিষয়টিও বড় প্রশ্ন। ট্রাম্প প্রশাসনের গত জুলাইয়ে সই করা “বিগ বিউটিফুল বিল”-এ পাঁচ বছরের জন্য অতিরিক্ত ২৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, পেন্টাগনের আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার বেশি খরচের প্রয়োজন হতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার তীব্র বোমাবর্ষণ থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে প্যাট্রিয়টসহ ব্যয়বহুল ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। ফলে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র অর্ডার সময়মতো পূরণ করা যাচ্ছে না। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি ও মিত্রদের সুরক্ষার জন্য এই ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের আরও ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় ওয়াশিংটন।
এদিকে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র শত শত উচ্চমানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করায় মজুদ আরও কমে যায়। এর পর জুনে ট্রাম্প প্রশাসন আক্রমণাত্মক উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য পেন্টাগন যে ১২টি অস্ত্রের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে—প্যাট্রিয়ট ইন্টারসেপ্টর, লং রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৬, প্রিসিশন স্ট্রাইক মিসাইল এবং জয়েন্ট এয়ার-সারফেস স্ট্যান্ডঅফ মিসাইল। এর মধ্যে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...