Logo Logo

অমুসলিমদের পূজা-পার্বণে মুসলিমদের অবস্থান

ঈমান রক্ষায় মুসলিমদের জন্য পূজা-পার্বণে বর্জনীয় কাজের তালিকা


Splash Image

ইসলামের আলোকে অমুসলিম উৎসবে মুসলমানদের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

অমুসলিমদের পূজা-পার্বণে একজন মুসলিমের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আলেমরা দিয়েছেন স্পষ্ট দিকনির্দেশনা। জানুন কোন কাজগুলোতে অংশ নেওয়া ঈমানের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।


বিজ্ঞাপন


অমুসলিমদের পূজা-পার্বণ নিয়ে মুসলমানদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আলেমরা বারবার সতর্ক করে আসছেন। একজন মু’মিনের জন্য এসব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে এটি ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আলেমদের মতে, একজন মুসলিমের উচিত অমুসলিমদের পূজা-পার্বণে আনন্দিত না হওয়া এবং কোনো ধরনের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন বা বার্তা প্রেরণ না করা। এ ছাড়া এসব পূজা-পার্বণে আর্থিক সহযোগিতা, শ্রম বা সামগ্রী সরবরাহ করাও হারাম বলে উল্লেখ করা হয়। বিশেষত পূজার কাজে ব্যবহৃত আতশবাজি বিক্রি, প্রতিমা তৈরি বা বিক্রি, পূজামণ্ডপ নির্মাণ কিংবা সেসব অনুষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করাও একজন মুসলিমের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

মুসলিমদের এসব পূজা-পার্বণে উপস্থিত থাকা, অনুষ্ঠান উপভোগ করা বা তাদের অনুসরণে আতশবাজি, ফটকা ফাটানো কিংবা রঙ খেলায় অংশগ্রহণ করাও অনুমোদনযোগ্য নয়। এমনকি পূজার খাবার, প্রসাদ, পিঠা-পায়েস বা অন্য কোনো খাবার গ্রহণ করাও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, কারণ এগুলো প্রায়শই দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয়।

একইভাবে পূজার উপলক্ষে মুসলিম ব্যবসায়ীদের বিশেষ ছাড় বা অফার ঘোষণা করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বরং এ ধরনের উদ্যোগ ঈদ, রমজান কিংবা ইসলামী উপলক্ষ্যে গ্রহণ করা উচিত বলে আলেমরা পরামর্শ দিয়েছেন।

বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে, এ ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়লে কারও ঈমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কোনো কোনো কাজ বড় গুনাহ, আবার কিছু কাজ মাকরূহ ও নিন্দনীয়। প্রকৃত মুসলমানের জন্য এগুলো থেকে দূরে থাকা অপরিহার্য।

তবে এর মানে এই নয় যে, একজন মুসলিম অমুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ বা সহিংস আচরণ করবে। বরং ইসলামের শিক্ষা হলো—তাদের কুফরি ও শিরকি কর্মকাণ্ডের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের পাশাপাশি, দাঈসুলভ করুণায় তাদের সঠিক পথে দাওয়াত দেওয়া।

কোরআনের আলোকে মুসলমানদের অবস্থান স্পষ্ট—“দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই। সত্য পথ ভ্রান্তি থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, সে এমন দৃঢ় রজ্জু আঁকড়ে ধরল যা কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না।” (সূরা বাকারা : ২৫৬)

আলেমরা আরও বলেন, ঈমানী নিরাপত্তা বজায় রাখতে যেমন এসব কর্ম থেকে বিরত থাকা জরুরি, তেমনি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে অমুসলিমদের অনুমোদিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অযথা হামলা বা আক্রমণ করাও উচিত নয়। একজন প্রকৃত মু’মিনের করণীয় হলো—নিজেকে সুরক্ষিত রাখা এবং হালাল পথে জীবনযাপন করা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...