ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ক্ষণিকের এই ঝাঁকুনি জনমনে সৃষ্টি করেছে চরম আতঙ্ক। তবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এই কম্পন কেবল একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং এটি শেষ দিবসের বা কিয়ামতের এক ভয়াবহ মহড়া। পবিত্র কুরআনে এই কম্পনের ভয়াবহতা সম্পর্কে স্পষ্ট সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
কিয়ামত বা মহাপ্রলয় যে ভূমিকম্পের মাধ্যমেই শুরু হবে, তা পবিত্র কুরআনের সূরা যিলযাল-এ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “যখন পৃথিবী তার চূড়ান্ত কম্পনে প্রকম্পিত হবে এবং জমিন তার ভেতরের সব বোঝা বের করে দেবে।” (সূরা যিলযাল: ১-২)। অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ের এই মৃদু কম্পন সেই চূড়ান্ত দিনেরই এক ভয়াবহ ইঙ্গিত। অন্যদিকে, হাদিস শরীফেও কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার দিন হিসেবে জুমুয়াবার বা শুক্রবারের কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সহীহ মুসলিম শরীফের এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমুয়াবার... এবং এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।”
শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর জন্য যেমন বরকতময় দিন, তেমনি এই দিনটি এক গভীর ভীতিরও বার্তা বহন করে। হাদিসে আরও বর্ণিত আছে যে, প্রতি জুমুয়াবারে আসমান, জমিন ও পাহাড়-পর্বত ভয়ে তটস্থ থাকে—না জানি আজই সেই মহাপ্রলয় বা কিয়ামত উপস্থিত হয়! বর্তমান সময়ে ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সেই অমোঘ সত্যের দিকেই ইঙ্গিত করছে। তাই উঁচু ভবনের দালানে বসে ক্ষণিকের কম্পনে কেবল আতঙ্কিত না হয়ে, মুমিনদের উচিত সেই চূড়ান্ত দিনের জন্য প্রস্তুত হওয়া, যেই দিন কোনো আশ্রয়ই কাজে আসবে না একমাত্র নেক আমল ছাড়া।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...