Logo Logo

সাগর পথে গাজায় সহায়তা—আটক সত্ত্বেও এগোচ্ছে ত্রাণবহর


Splash Image

৪০টির বেশি নৌযানে বিশ্বব্যাপী মানবিক মিশন গাজায়। ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলি বাধার মুখেও ফিলিস্তিনের গাজার দিকে এগোচ্ছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৩০টি নৌযান। আটক অধিকারকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।


বিজ্ঞাপন


ইসরাইলের বাধা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ত্রাণবাহী ৩০টি নৌযান। বর্তমানে এগুলো উপকূল থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার রাতে গাজা থেকে প্রায় ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে অবস্থানকালে ইসরাইলি সেনারা ফ্লোটিলার অন্তত আটটি নৌযান থামিয়ে দেয়। এসব নৌকা হলো—দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। তবে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল মোট ১৩টি নৌযান থামিয়েছে।

এ সময় বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে আটক করে ইসরাইলি বাহিনী। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “হামাস–সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদভাবে থামানো হয়েছে। আরোহীদের ইসরাইলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।”

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা মূলত সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা। বর্তমানে বহরটিতে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এতে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ মানুষ অংশ নিচ্ছেন।

প্রথম বহরটি গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও কিছু নৌযান যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও একাধিক জাহাজ যোগ দিয়েছে। ইসরাইলি বাধা না থাকলে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে নৌবহরটির গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল।

ইসরাইল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, এই বহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের যোগসূত্র রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি তারা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...