ছবি : সংগৃহিত
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, নীতিশ নামক ওই শিশু রাজস্থানের শিকর জেলার বাসিন্দা। সর্দি-কাশি হয়েছিল বলে তার মা-বাবা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক একটি কাফ সিরাপ লিখে দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে তার মা ওষুধ খাওয়ান। রাত তিনটের দিকে শিশুটি ঘুম থেকে উঠে পড়ে এবং হেঁচকি তুলতে শুরু করে। মা পানি খাইয়ে শুইয়ে দেয়। এরপর আর শিশুটি ওঠেনি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হতেই আরেক অভিভাবকও জানান যে তাদের ২ বছরের সন্তানও কফ সিরাপ খাওয়ার পরই গত ২২ সেপ্টেম্বর মারা যায়। তাদের বাকি দুই শিশুও দীর্ঘক্ষণ ঘুমের ঘোরে ছিল। তাদের সবার ঘুম থেকে ওঠার পর লাগাতার বমি হচ্ছিল। এরপরে ফের সম্রাট নামের ২ বছরের শিশু অজ্ঞান হয়ে যায় এবং তার মৃত্যু হয়।
কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডা. তারাচাঁদ যোগী কিছুতেই মানতে নারাজ ছিলেন যে তার লেখা ওষুধ খেয়েই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। ওষুধটি নিরাপদ প্রমাণ করতে তিনি নিজে এক ডোজ খান এবং এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককেও দেন। ভরতপুরের উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে রওনা দিতেই মাঝপথে তার চোখ জুড়িয়ে আসে। তিনি কোনো মতে রাস্তার ধারে গাড়ি পার্ক করান এবং এরপরই সংজ্ঞাহীন হয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ পরেও তার খোঁজখবর না পেয়ে, পরিবারের সদস্যরা ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে ৮ ঘণ্টা পর তাকে গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করেন। অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরও একই অবস্থা হয়েছিল বলে জানা গেছে। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন।
শিশু মৃত্যু ও শিশুদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনার পরই রাজস্থান সরকারের তরফে ওই কাফ সিরাপের ২২টি ব্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিস্ট্রিবিউশনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...