বিজ্ঞাপন
কৃষকরা জানিয়েছেন, শীতের আগেই ভালো দামের আশায় মাঠজুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আউশ ও আগাম আমন কাটার পর সেই জমিতেই সার প্রয়োগ করে হিমাগার থেকে আনা বীজ রোপণ করা হচ্ছে। কৃষিনির্ভর এ জেলায় বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা আগাম আলু চাষের জন্য পরিচিত। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ‘সেভেন’ জাতের আলু ৫০ থেকে ৬০ দিনে তোলা যায়। বাজারে এর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি থাকায় কৃষকদের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে।
তবে জলবায়ুর অস্থিরতা চাষিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। আলু শীতপ্রধান ফসল হলেও শরতে শীতের আমেজ শুরু হলেও দিনের বেলায় তীব্র গরমে আলু দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমে অকাল বৃষ্টিপাত হলে ফসল নষ্ট হয়ে পুনরায় একই জমিতে আলু রোপণ করতে হয়। এতে করে আগাম জাতের পরিবর্তে পরে সাধারণ ভ্যারাইটিতে পরিণত হয়। তখন বাজারে দাম পড়ে যায়, আর চাষিদের লোকসান গুনতে হয়।
বর্তমানে নীলফামারীর হিমাগারগুলোতে রাখা বিনা-৭ জাতের আলুর দাম কেজিপ্রতি মাত্র ১১ থেকে ১২ টাকা। অথচ উৎপাদন খরচ অনুযায়ী প্রতি কেজির দাম দাঁড়িয়েছে অন্তত ৩০ টাকা। বীজ আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ২০ টাকায়। অন্যদিকে বাজারে অন্যান্য সবজির দাম চড়া হলেও আলুর দাম বাড়ছে না। এ পরিস্থিতি কৃষকদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...