অমুসলিমকে যাকাত দেওয়া যাবে? জানুন কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট নির্দেশনা
বিজ্ঞাপন
প্রশ্ন: আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, অমুসলিমকে যাকাত এবং সাধারণ দান দেওয়া যাবে কি?
উত্তর:
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী অমুসলিমকে যাকাত দেওয়া বৈধ নয়, এবং এতে যাকাত আদায়ও হবে না। এ বিষয়ে হাদিসে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
সহিহ মুসলিমের একটি দীর্ঘ হাদিসে রাসুলুল্লাহ ﷺ হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.)-কে উদ্দেশ করে বলেন—
“তুমি ধনী মুসলমানদের থেকে যাকাত সংগ্রহ করবে এবং তা তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করবে।”
(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ১, হাদিস ৩৬)
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম কাসানী রহ. বলেন:
“নবী করিম ﷺ ধনী মুসলমানদের থেকে যাকাত নিয়ে দরিদ্র মুসলমানদেরকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং অমুসলিমকে যাকাত দেওয়া বৈধ নয়।”
(বাদায়েউস সানায়ি, ২/১৬১)
এ বিষয়ে আলেমদের সর্বসম্মত মত হলো—
“لا يجوز صرف الزكاة إلى الكافر بلا خلاف”
অর্থাৎ অমুসলিমকে যাকাত দেওয়া কোনোভাবেই বৈধ নয়।
তবে নফল সদকা বা সাধারণ দান অমুসলিমদের দেওয়া জায়েজ।
বিখ্যাত তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রহ. বলেন:
“তাদের (অমুসলিমদের) জন্য যাকাত নয়, তবে কেউ চাইলে নফল সদকা দিতে পারে—এতে কোনো সমস্যা নেই।”
(আল-মুসান্নাফ, ইবনে আবি শাইবা, হাদিস ১০৪১০)
ফতোয়া নম্বর: 144109202118
সূত্র: দারুল ইফতা, জামিয়া উলূম ইসলামিয়া, আল্লামা মুহাম্মদ ইউসুফ বানুরি টাউন
আরেকটি ফতোয়ায় বলা হয়েছে—
“যাকাত শুধু মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট। তবে ফিতর, কাফফারা বা মান্নত সদকার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের দেওয়া নিয়ে কিছু ইমামের ভিন্নমত আছে; তথাপি মুসলমান দরিদ্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া উত্তম।”
(বাদায়েউস সানায়ি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৯, দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যা)
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...