বিজ্ঞাপন
এই সময় তার সঙ্গে ছিলেন পৌর আমির মাওলানা এনামুল হক খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ শমসের আলী, হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আরিফ, করপাড়া ইউনিয়নের আমির নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি হাফেজ মোহাম্মদ শিবলী ও করপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গফফার খান।
এডভোকেট আজমল হোসেন বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে যারা দেশ শাসন করেছে তারা বারবার দেশকে ধ্বংস করেছে এবং লুটের রাজ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে এবং লন্ডন, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া তৈরি হয়েছে। দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও নেশা দ্রব্যের অবৈধ আমদানি যুবসমাজের চরিত্র ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবনমান দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বেকার সমস্যা এবং খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ মৌলিক সমস্যা সমাধান করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরের শাসনে ধনী-দারিদ্র্যের যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করা প্রয়োজন। ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের ঊর্ধ্বে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে একটি সুশীল সমাজ গঠন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী এই ৫৩ বছর ধরে সুশীল সমাজ গঠনের কাজ করছে। আমাদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ সৎ ও যোগ্য লোক রয়েছে। আপনারা দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে সৎ ও যোগ্য লোকদের নির্বাচিত করে কোরআনের আইন ও সৎ শাসন কায়েম করার সুযোগ করে দিতে পারবেন।”
প্রার্থী আজমল হোসেন বলেন, “আগামী নির্বাচনে আমাদের কর্মী ও নেতাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘরে ঘরে দিন বদলের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। যুব সমাজের মধ্যে স্লোগান উঠেছে—নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট সৎ নেতৃত্ব ও ইনসাফের পক্ষে হোক। আমরা বেকার সমস্যা দূর করার জন্য শিক্ষিত বেকারদের ঘুষ ছাড়া চাকরির ব্যবস্থা করব। বেকার দারিদ্র্যের মধ্যে ‘আয় থেকে দায়’ পরিশোধ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার এবং রিকশাওয়ালাদের জন্য রিকশা ক্রয় প্রকল্প ইতোমধ্যেই হাতে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন আমরা সকলে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে কোরআনের আইন অনুযায়ী সৎ শাসন কায়েম করি। এই লক্ষ্যে প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।”
প্রতিবেদক- মাহাবুবুর রহমান, গোপালগঞ্জ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...