বিজ্ঞাপন
ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আজ আমরা এখানে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে দাঁড়িয়েছি। দীর্ঘ, ভয়াবহ, যন্ত্রণাদায়ক এবং ক্লান্তিকর দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটেছে। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্য এটি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। যুদ্ধবিরতি আনার জন্য যে পরিশ্রম করতে হয়েছে, তা তিন হাজার বছরের সমান।”
তিনি আরও বলেন, “এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন ও পুনঃনির্মাণের সময়। আমি আশা করি শিগগিরই তা শুরু হবে।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা ইসরায়েলে হঠাৎ হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এ হলো ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। এর জবাবে ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। দুই বছরে গাজায় নিহত হন ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার।
দু’বছরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চললেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সেই কারণে জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় আইডিএফের সামরিক অভিযানও অব্যাহত ছিল। হিসেব অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত হামাসের হাতে ছিল ৪০ জন ইসরায়েলি জিম্মি, যার মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২০ জন।
এই পরিস্থিতিতে ২০২৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রস্তাব করে। ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই তা মেনে নেওয়ার পর ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। বিরতির তৃতীয় দিন, ১৩ অক্টোবর, অবশিষ্ট ২০ জন জিম্মি মুক্তি পায়, এবং বিনিময়ে ইসরায়েল ৩ হাজার ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি কয়েদি মুক্তি দেয়।
গাজা শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ ২, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক ম্যাৎর্স, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ ২০টির বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
এবারের সম্মেলনকে বিশ্লেষকরা গাজা পুনর্গঠন ও স্থায়ী শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...