ছবি : সংগৃহিত
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সৈন্যদের ওপর হামাসের হামলার অভিযোগ পাওয়ার পর তারা সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
আইডিএফের দাবি, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে ইসরায়েলি সৈন্যরা রাফাহ এলাকায় ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ভেঙে ফেলার সময় হামাসের সশস্ত্র শাখার হামলার শিকার হয়। এতে দুই সেনা নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হয়। এর জবাবেই রাফাহ সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে সামরিক বাহিনীকে ‘দৃঢ়ভাবে’ প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে এবং বরাবরের মতো এবারও ইসরায়েলই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ইসরায়েল তাদের অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ‘অজুহাত তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস।
গাজার আল-আওদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার আল-জাওয়াইদা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের এক কমান্ডারসহ আরো কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
একইদিন, মধ্য গাজার একটি আবাসিক এলাকায় চালানো আরেক হামলায় ধ্বংস হয় একটি মিডিয়া প্রোডাকশন কোম্পানির ভ্যান ও সম্প্রচার সরঞ্জাম। নিহত হন কোম্পানির একজন সম্প্রচার প্রকৌশলী ও তার শিশু সন্তান। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকাটি ছিল সম্পূর্ণ বেসামরিক এবং সেখানে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও কাজ করছিলেন। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজনৈতিক পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি আবার কার্যকর করা হয়েছে। তবে গাজায় প্রবেশ করা সব ত্রাণবাহী ট্রাকের চলাচল আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৮০ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...