বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) তার মায়ের করা রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন। বিচারক সালমান শাহের বাবা কমর উদ্দিনের অভিযোগ এবং ঘটনায় জড়িত রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদের জবানবন্দি সংযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবিদ হাসান বলেন, "সালমান শাহের মৃত্যুর পর তার বাবা কমর উদ্দিন রমনা মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। পরের বছর মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন করা হলেও তা তখন গ্রহণ করা হয়নি। রিজভী ওরফে ফরহাদ নামে এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, যেখানে সালমানকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা উল্লেখ রয়েছে। এরপরও মামলাটি প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব পায়নি। পরে পিবিআই তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছেন। আজ সেই আদেশ বাতিল করে হত্যার মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ মারা যান। প্রথমে তার বাবা অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই তিনি মামলা হত্যাকাণ্ডের ভিত্তিতে রূপান্তর করতে আবেদন করেন। আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি প্রতিবেদন আদালতে দেন এবং সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এরপর দীর্ঘ সময় ধরে মামলা বিচার বিভাগীয় তদন্তে থাকে। ২০১৪ সালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে দেখানো হয়। সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান এবং তার বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করেন, যেখানে উল্লেখ ছিল, তার ছেলে সালমান শাহকে হত্যা করা হতে পারে।
মামলাটি পরে র্যাব তদন্তে গেলে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট আদালত রিভিশন মঞ্জুর করে র্যাবকে তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপর মামলা তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়া হয়।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ছয়শ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখ ছিল, সালমান শাহ পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত এই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি খারিজ করেন। এরপর নীলা চৌধুরীর আইনজীবী ফারুক আহমেদ রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত রিভিশনটি গ্রহণ করেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...