বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১৮ ঘণ্টা আলোচনার পর আফগান প্রতিনিধিদল কাবুলের নির্দেশে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। ফলে ইসলামাবাদের মূল দাবি—পাকিস্তান তালেবান বা টিটিপি-বিরোধী কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন—অচল হয়ে পড়ে। আফগান পক্ষ পাল্টা অভিযোগ তোলে, পাকিস্তান সমন্বয়ের অভাবে আন্তরিকতা দেখাচ্ছে না।
বৈঠকে আফগান দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক উপমন্ত্রী হাজি নাজিব। তবে পাকিস্তান তাদের প্রতিনিধিদের নাম প্রকাশ করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ ও হামলায় দুই দেশের সেনা ও বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি বাড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিনের পারস্পরিক সন্দেহ, সীমান্ত সমস্যা ও আফগান তালেবানের সঙ্গে টিটিপির আদর্শিক সম্পর্ক কূটনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। উইলসন সেন্টারের প্রাক্তন ফেলো বাকির সাজ্জাদ সৈয়দ মন্তব্য করেছেন, “গভীর অবিশ্বাস ও পরস্পরবিরোধী অগ্রাধিকার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানকে আরও কঠিন করে তুলছে।”
তবে আলোচনার পথ এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। কাতার ও তুরস্ক ছাড়াও চীনসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলো মধ্যস্থতার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবুও ইসলামাবাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা সাম্প্রতিক বক্তব্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, “প্রয়োজনে সীমান্তপারে বিমান হামলা বা অভিযান চালানো হতে পারে।”
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই অচলাবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে অঞ্চলজুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে বেসামরিক প্রাণহানি বাড়বে এবং আফগান জনগণের মধ্যে পাকিস্তানবিরোধী মনোভাব আরও তীব্র হতে পারে। এতে সবচেয়ে লাভবান হবে টিটিপি, যার সুযোগে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...