পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর বুধবার (২৯ অক্টোবর) পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে ‘নির্মূল’ করার হুঁশিয়ারি দেন।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরে তোমাদের বিশ্বাসঘাতকতা ও উপহাস সহ্য করেছি, কিন্তু আর নয়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যে কোনো সন্ত্রাসী বা আত্মঘাতী হামলার জবাব এবার তিক্ত হবে। চাইলে আমাদের সংকল্প ও সামরিক ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখো—তোমাদের জন্য এর ফল ধ্বংসাত্মকই হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তালেবান শাসনকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে পাকিস্তানের অস্ত্রাগারের সামান্য অংশই যথেষ্ট। যদি তারা তা চায়, তাহলে দুই পায়ের মাঝে লেজ গুঁজে পালানোর দৃশ্য আবারও এই অঞ্চলের মানুষ দেখতে পাবে।”
এর আগে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইস্তাম্বুলে যুদ্ধবিরতি আলোচনা কোনো অভিন্ন সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে।
২০২১ সালে কাবুলে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে সাম্প্রতিক মাসে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
রয়টার্সকে আফগান ও পাকিস্তানি সূত্র জানায়, ১৯ অক্টোবর দোহায় অস্ত্রবিরতির মধ্যস্থতায় উভয় দেশ একমত হলেও ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
পাকিস্তানের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, আফগান তালেবানরা পাকিস্তানি তালেবানদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপে রাজি হয়নি। অপরদিকে, আফগান পক্ষের দাবি—তাদের পাকিস্তানি তালেবানদের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই। উত্তেজনাপূর্ণ মতবিনিময়ের মধ্যেই আলোচনা শেষ হয়।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। পাকিস্তানের সহিংসতার ৯৬ শতাংশেরও বেশি এখন এই দুই প্রদেশে ঘটে থাকে।
পাকিস্তান পুলিশের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়াতেই ৬০০টিরও বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৭৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...