বিজ্ঞাপন
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে মাটির ২৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
এএফপি’র প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাজধানী কাবুল থেকেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। মাঝরাতে ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি কেঁপে উঠলে মাজার-ই-শরীফের বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পুরোনো ও দুর্বল ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে।
এর আগে মাত্র দুই মাস আগে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর দেশটি বারবার বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়েছে। ২০২৩ সালে হেরাত অঞ্চলে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেড় হাজার মানুষ নিহত ও প্রায় ৬৩ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছিল।
অন্যদিকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট ৬ মাত্রার অগভীর ভূমিকম্পে প্রাণ হারান প্রায় ২ হাজার ২০০ জন—যা আফগানিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত হয়।
ভূতাত্ত্বিকভাবে আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। বিশেষ করে হিন্দু কুষের পাহাড়ি এলাকায় ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থানের কারণে প্রায়ই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...