বিজ্ঞাপন
নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশ্রাব আলী জানান, দুলাল শরীফের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা একটি জি.আর মামলার ভিত্তিতে এ গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুলাল শরীফ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলীয় কর্মীদের নিয়ে নলছিটি শহরের ব্যবসায়ী আজমল হোসেনের প্রতিষ্ঠান সোনালী ট্রেডার্সে হামলা চালান। হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশ থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া দোকানের সামনের মোটরসাইকেলটিও তারা ভাঙচুর করে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আজমল হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় সে সময় ভয়ে মামলা করতে পারিনি। তবে সরকারের পতনের পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাহস করে নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করি।” ওই মামলার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার ভোরে দুলাল শরীফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দুলাল শরীফ নলছিটির রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। ১৯৮০-এর দশকে তিনি পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে যোগ দেন জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন নতুন বাংলা ছাত্র সমাজে এবং সেখান থেকেই প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি বিএনপিতে যোগ দিলেও পরে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। আমুর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকেই দুলাল শরীফ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসীন হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আমুর প্রভাব বলয়ে থেকে দুলাল শরীফ গত ১৬ বছর ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন।
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুস সালাম বলেন, “দুলাল শরীফের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...