ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
ঝিনাইদহে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সদর উপজেলার হলিধানী ব্লকে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশের মাঠে কৃষক আব্দুর রহিম বাদশা পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। নিজের উদ্যোগে সংগ্রহ করা বীজ ৫২ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন তিনি। গাছের গোড়ার আদ্রতা ধরে রাখতে আধুনিক মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে খেতে তৈরি করা হয় মাচা, যেখানে ঝুলছে তরতাজা রসে টইটম্বুর তরমুজ। কৃষক আব্দুর রহিম জানান, ১১টি মাচায় দুই হাজারেরও বেশি তরমুজ ফলেছে। প্রতিটি ফলের ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত হয়, স্বাদ, রঙ ও মানেও বেশ উন্নত। দুই মাসের পরিচর্যায় ফল আসতে শুরু করে এবং তিন মাসে বাজারজাত উপযোগী হয়। ৫২ শতাংশ জমিতে মোট ৪০ হাজার টাকা খরচ করে তিনি ইতোমধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় পুরো বাগান বিক্রি করেছেন, ফলে আড়াই মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
এই সফল চাষের খামার পরিদর্শন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টিম। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় তারা তরমুজ খামারটি ঘুরে দেখেন। উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের ফসল উইংয়ের যুগ্মপ্রধান ফেরদৌসী আখতার, উপপ্রধান রত্না শারমীন ঝরা, সিনিয়র সহকারী প্রধান প্রিয়াংকা দেবী পালসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে তারা তরমুজের বাম্পার ফলন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কৃষকের এই উদ্ভাবনী উদ্যোগকে প্রশংসা করেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নূর এ নবী জানান, এ ধরনের ব্যতিক্রমী গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ জেলায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। কৃষকদের লাভজনক ফসলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে নিয়মিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মপ্রধান ফেরদৌসী আখতার বলেন, স্বল্পমেয়াদী এই ফসল কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত লাভবান করতে পারে। সরকার কৃষকদের পাশে থেকে এ ধরনের আধুনিক চাষে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...