Logo Logo

কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা নীলফামারীর ধান চাষিরা


Splash Image

নীলফামারীর একটি আমন ধান ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ, ক্ষতিগ্রস্ত ধান গাছে স্প্র করছেন একজন কৃষক। ছবি : ভোরের বাণী

নীলফামারীতে আমন ধানের ক্ষেতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে কারেন্ট পোকা, মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ। নানা ধরনের বালাইনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। বারংবার স্প্রে করেও পোকা দমন না হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের কাছ থেকে তারা সময়োপযোগী ও সঠিক পরামর্শ পাচ্ছেন না।


বিজ্ঞাপন


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নীলফামারী সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৫৯১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। পাকা ধান ঘরে তোলার ঠিক আগমুহূর্তে এই পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ের আবহাওয়ার তারতম্য এবং বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে এসব রোগ ও পোকার প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

সদরের চাঁদের হাট এলাকার ধান চাষি একরামুল হক ভোরের বাণীকে জানান, তার চার বিঘা জমির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে প্রায় ধ্বংসের পথে। তিনি বলেন, "একাধিকবার বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও পোকা দমন করতে পারছি না। ধানের গোড়া পচে যাচ্ছে।" একই এলাকার আরেক কৃষক রেজাউল মিয়া বলেন, "কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দিয়েও মাজরা পোকা আর কারেন্ট পোকা নির্মূল করা যাচ্ছে না।"

বিশমুড়ী চেয়ারম্যান পাড়ার কৃষক সাগর আলী হতাশ কণ্ঠে বলেন, "এবার যেভাবে পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে, তাতে আশানুরূপ ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। একাধিক কোম্পানির বালাইনাশক ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি।" কৃষকদের অভিযোগ, মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের যেভাবে সক্রিয় থাকার কথা ছিল, সেভাবে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. আতিক আহমেদ বলেন, "আমরা কৃষকদের সচেতন করতে নিয়মিত উঠান বৈঠক এবং লিফলেট বিতরণ করছি, যা এখনো চলমান আছে।" তিনি কারেন্ট পোকা দমনের জন্য ধান গাছের গোড়ার দিকে ভালোভাবে স্প্রে করার পরামর্শ দেন। এছাড়া ধানের জমিতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের জন্য লাইন ফাঁকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...