বিজ্ঞাপন
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উৎপাদন খরচের ঊর্ধ্বগতি, যা তাদের লোকসানের আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিয়েছে। যদিও আগাম আলু বিক্রি করে কিছু কৃষক কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তবুও অধিকাংশ কৃষকই ভালো দাম না পাওয়ায় শঙ্কিত।
চলতি সময়ে বৃষ্টির কারণে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি সার, কীটনাশক ও অন্যান্য কৃষিজ উপকরণের খরচ অনেক বেশি হওয়ায় আলু চাষিদের লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে।
বুধবার (১০ই ডিসেম্বর) সরজমিনে সদরের বিভিন্ন এলাকার আগাম আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বললে তারা দৈনিক ভোরের বাণী জেলা প্রতিনিধিকে তাদের হতাশার কথা জানান। চাষিরা বলেন, এমনিতেই আলু চাষ করে তারা ক্ষতির মুখে, তার ওপর নতুন আলুর চাহিদা বাজারে তেমন নেই।
রামনগর ইউনিয়নের আলু চাষি হবিবর রহমান বলেন, "আলুতে যে লোকসান হয়েছে, তা পূরণের কোনো উপায় আমার নেই। আমন ধানসহ সার-কীটনাশক বাকিতে ক্রয় করে আগাম আলু চাষ করেছিলাম, কিন্তু শেষমেশ হতাশা পেলাম।"
একই এলাকার চাষি আইয়ুব আলী দুঃখ করে বলেন, "দাম না-ই থাক, কিন্তু চাহিদা তো থাকবে! এ বছর নতুন আলুতে চাহিদা নেই বললেই চলে।"
অপর আলু চাষি মশিউর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, "এত কষ্ট করে চাষাবাদের ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। চাষিরা যদি ফসলের ন্যায্য দাম না পান, তবে তারা এই চাষাবাদ থেকে আগ্রহ হারাবেন। এর ফলস্বরূপ ভুগতে হবে দেশের সকল পেশার লোকজনকেই।"
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিদের পাশে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন মহলের গুণীজনরা। তারা মনে করেন, কৃষকদের লোকসান থেকে বাঁচাতে সরকারি সহযোগিতা একান্ত জরুরি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...