বিজ্ঞাপন
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, এ বছর উপজেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫৫ হেক্টর। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন আলু গাছের সবুজ পাতার রঙে মুখরিত। কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা এখন খেত পরিচর্যায়। এর মধ্যে কেউ কেউ আগাম আলু গাছের গোড়ায় মাটি, আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, সেচ, ছত্রাক রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কালদাসপাড়া গ্রামের আগাম আলু চাষি শহর আলী জানান, আগাম আলু রোপনের কয়েকদিনের মাথায় লাগাতার বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হলেও স্বাভাবিক হয়েছে আলুর খেত। আগাম আলুর বাজার ধরার আশায় আলুর খেত পরিচর্যায় গাছের গোড়ায় মাটি দিচ্ছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আলুর বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বাজার দর ঠিক থাকলে খরচ পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে জানান তারা।
ওই গ্রামের কৃষক মফিজুল হক বলেন, গতবার আলু চাষে লাভ তো হয়নি লোকসান হয়েছে। এ বছর আগাম আলু চাষ করেছি কি হবে আল্লাহ মাবুদই জানে। আলু চাষে প্রতি বিঘা (৫০শতকে) জমিতে ব্যয় হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে সঠিক বাজার মূল্য না পেলে কৃষকরা লোকশানের মুখে আবারো পড়বে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জীবন ইসলাম বলেন, আমরা আশাবাদী এবার বাজারে আলুর দাম ভালো পেলে লাভবান হতে পারবে কৃষকরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...