ভোরের বাণী
ভোরের বাণী গ্রাফিক্স
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে ২৫০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হচ্ছিল। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও অনেকে ভয়ে মুখ খুলেননি।
এই ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধেই ফেইসবুকে প্রতিবাদী পোস্ট দেন ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রশিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিআরটিএ অফিসের দালাল হিসেবে পরিচিত খন্ডকালীন প্রশিক্ষক ফারুক হোসেন ১.৭৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এই কাজে সরাসরি যুক্ত আছেন অটোমোটিভ ট্রেডের প্রধান প্রশিক্ষক সাদেকুল ইসলাম।
ফেইসবুক পোস্টে দেলোয়ার দাবি করেন, টাকা না দিলে অনেককে ড্রাইভিং পরীক্ষায় ফেল দেখানো হয়। প্রতিবাদ করায় তাকেও হুমকি ও হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পরবর্তীতে তাকে শোকজ করে তিনদিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে দেলোয়ার বলেন, “আমাকে হেনস্তা করে সত্য আড়াল করতে চায় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত করলেই সব প্রমাণ মিলবে।”
৭ মে বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে লাইসেন্স দেওয়ার নামে মোট ১.৭৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফারুক হোসেন হালকা যানবাহনের জন্য ২৫০০ এবং ভারি যানবাহনের জন্য ৩৫০০ টাকা করে নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলাম, ১০ জন টাকা না দিতে পারায় তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।” তারা আরও অভিযোগ করেন, সরকার প্রতিদিন ১৫০ টাকা দেওয়ার কথা বললেও সেটি ঠিকমতো দেওয়া হয় না। বরাদ্দকৃত জ্বালানিও যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয় না।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ফারুক হোসেন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সামছুর রহমান জানান, “প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। অভিযোগকারী শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। প্রমাণ না পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজমির শরীফ মারজী জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”