বিজ্ঞাপন
সোমবার (১০ নভেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, টাইফুনের প্রভাব কাটতে শুরু করলেও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ধ্বংসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝড় আঘাত হানার আগে গত রোববার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ লুজনে তীব্র বাতাস, ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সৃষ্টি হয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দশ লাখেরও বেশি মানুষকে আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ইসাবেলা প্রদেশের বাসিন্দা রোমিও মারিয়ানো জানান, ঝড়ের রাতে তারা প্রবল আতঙ্কে ছিলেন। “আমরা ঘুমাতে পারিনি, কারণ বাতাস আমাদের ধাতব বাসস্থানে আঘাত করছিল এবং গাছের ডাল ভেঙে যাচ্ছিল। পরে আমরা যখন বাইরে বের হই, দেখি আমাদের বাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,” বলেন তিনি।
আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফাং-ওং বর্তমানে উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে তাইওয়ানের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে প্রভাব ফেলতে পারে। সোমবারও টাইফুনটির কারণে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। যদিও এটি এখন দুর্বল হয়ে সাধারণ টাইফুনে রূপ নিয়েছে, তবুও উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, এটি ছিল এ বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা ২১তম ঝড়। মাত্র এক সপ্তাহ আগে টাইফুন ‘কালমায়েগি’র তাণ্ডবে দেশটিতে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...