বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হামলাটিকে ‘‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’’ বলে অভিহিত করেছেন।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই বিস্ফোরণের ঘটনাকে দেশের জন্য ‘‘এক সতর্কবার্তা’’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যুদ্ধাবস্থায় রয়েছি। কেউ যদি মনে করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী কেবল আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা বা বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যুদ্ধ করছে, তাহলে আজ ইসলামাবাদের জেলা আদালতে আত্মঘাতী হামলাটি তাদের জন্য সতর্কবার্তা।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে সফল আলোচনার আশা করা অর্থহীন।’’
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আদালত চত্বরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাছে পুড়ে যাওয়া গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি আকাশে উড়ছে।
আইনজীবী রুস্তম মালিক ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, ‘‘আমি গাড়ি পার্ক করে ভবনে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ফটকের পাশে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছি। বিস্ফোরণের পর লোকজন আতঙ্কে দৌড়ে পালিয়ে গেছে এবং আশপাশের কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আদালত চত্বর এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষও আদালত ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। আমি ফটকের সামনে দু’জনের মৃতদেহ দেখেছি। ওই সময় কয়েকটি গাড়িতে আগুন জ্বলছিল।’’
আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৩৯ মিনিটের দিকে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২ জন নিহত এবং প্রায় ২৭ জন আহত হয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...