বিজ্ঞাপন
পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে বাসেত গ্রুপ ও সুমন সরদার গ্রুপের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিলেন।
সংঘর্ষের ঘটনাগুলো ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে সমঝোতা বৈঠক চলাকালীন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের সামিউদ্দিন সাজিদ, আল-আমিন, আশরাফুল, প্রত্যয়, ইব্রাহিম, জনি ও জাহিদ; রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদী এবং বাংলা বিভাগের ছাব্বীর।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে সোমবার (১০ নভেম্বর) আস-সুন্নাহ পরিবহনের বাসে। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ ও তাঁর বন্ধুরা কথা বলছিলেন। এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদী তাঁদের কথা বলতে নিষেধ করে হুমকি দেন—‘তোমাকে দ্বিতীয় গেটে ঝুলিয়ে রাখব।’ পরবর্তীতে সাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট ও হলে সাজিদের খোঁজ নেন।
মঙ্গলবার দুপুরে দ্বিতীয় গেটের সামনে সাজিদ বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকলে সাদী, আহ্বায়ক সদস্য মাসফিক, বাংলা বিভাগের আশরাফুল ও যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত উপস্থিত হয়ে তাঁকে ডাকেন। কিছুক্ষণ পর সাদী ও তাঁর সহযোগীরা অতর্কিতভাবে সাজিদের ওপর হামলা চালায়। সহায়তার চেষ্টা করলে আল-আমিন, প্রত্যয়, ইব্রাহিম ও জাহিদের ওপরও আঘাত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাজিদ এক নেতার সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় পেছন থেকে সাদীর অনুসারীরা এসে তাঁকে আঘাত করতে শুরু করেন। সিনিয়র নেতারা বাধা দিতে গিয়েও ধাওয়া থামাতে পারেননি। পরে শান্ত চত্বরে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ হয়, যেখানে আল-আমিনের মুখে চেয়ার দিয়ে আঘাত করা হয়। তৃতীয় দফায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিনের কক্ষে সমঝোতা বৈঠক চলাকালীন আবার সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. নঈম আক্তার সিদ্দিকী, ফেরদৌস হোসেন ও মাহাদী হাসান জুয়েলসহ কয়েকজন শিক্ষক।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ বলেন, “গতকাল সকালে আস-সুন্নাহ বাসে কথা বলছিলাম। সাদী এসে হুমকি দেয় এবং আজ ১৫-২০ জন নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা করে।” আহত আল-আমিন জানান, “চেয়ার দিয়ে এমনভাবে মুখে আঘাত করেছে যে মুখ ফুলে গেছে, চেয়ারটাই ভেঙে গেছে।”
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার বলেন, “বাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কারণে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে; এতে রাজনৈতিক কোনো বিষয় জড়িত নয়।” আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমরা দুই পক্ষকে সামলানোর চেষ্টা করেছি; পরে শিক্ষকদের সঙ্গে বসে সমঝোতা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক জানান, “প্রাথমিকভাবে দুই বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। পরে তা বড় আকার ধারণ করে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...