Logo Logo

১৩ নভেম্বর নাশকতার ছক, আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার


Splash Image

আওয়ামী লীগের ডাকা আগামী ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে সফল করতে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সভাপতি শামীম হকের অনুপস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লিখিত বক্তব্যে এসপি আব্দুল জলিল বলেন, সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী ফারুক হোসেনকে মোট পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেন। এর মধ্যে চার লাখ টাকা ফারুক ইতিমধ্যে এক ব্যক্তিকে দিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে ঐ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

তিনি আরও জানান, ফারুক হোসেন বিভিন্ন সময়ে দলীয় প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য বিকাশের মাধ্যমে তার কর্মীদের কাছে অর্থ প্রেরণ করেছেন।

এসপি জলিল বলেন, “আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে সফল করা এবং সারাদেশে অচলাবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে গত ৯ নভেম্বর সকালে ব্রহ্ম সমাজ সড়কে আওয়ামী যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হন। সেখানে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, অরাজকতা সৃষ্টি ও জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়।”

পুলিশের দাবি, এই ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা হলেন মো. ফারুক হোসেন।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী মহল্লার নূরজাহান টাওয়ারের ১০ তলায় অভিযান চালিয়ে ফারুক হোসেন (৫৩) ও জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন আক্তারকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ফারুক হোসেন হাবেলী গোপালপুর এলাকার মৃত জাহেদ হোসেনের ছেলে এবং নাসরিন আক্তার কুঠিবাড়ী রেলকলোনি এলাকার মৃত ফিরোজ শেখের মেয়ে।

এসপি আরও বলেন, ফারুক হোসেনের মোবাইল ফোন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে ফারুক হোসেনের রাজনৈতিক পটভূমি তুলে ধরে এসপি জানান, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮১ সালে রাজেন্দ্র কলেজের ভিপি, ১৯৮২ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ‘বোমা ফারুক’ নামে পরিচিত। রাজেন্দ্র কলেজে ভিপি থাকাকালীন হরতালের সময় বোমা বিস্ফোরণে তার বাম হাতের মধ্যমা আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন এবং ঠিকাদারি ব্যবসা থেকে অবসর নিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও ছয়টি মামলা রয়েছে—এর মধ্যে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় চারটি এবং ঢাকায় দুটি।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক আতিকুর রহমান বাদী হয়ে ফারুক হোসেন ও নাসরিন আক্তারকে আসামি করে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন একটি মামলা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...