বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেরাং বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—শরীফপুর ইউনিয়নের আব্দুল কাদের চেরাং বাড়ির বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী মো. ইদ্রিস ওরফে মানিক (৩৪), মোহাম্মদ রাকিব (২৬) ও একই বাড়ির মো. জাফর (২৮)।
নিহত জিলানী চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. গোফরানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রায় এক মাস আগে সৌদি আরব প্রবাসী মানিক দেশে ফেরেন। দেশে আসার পর চার মামলার আসামি কানকাটা কাদিরা তার কাছে ইয়াবা সেবনের জন্য টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে কাদিরার প্রতিপক্ষ গ্রুপের রাকিব ও জাফরসহ একটি সশস্ত্র দল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০–১৫ জনের ওই সংঘবদ্ধ দল বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মুন্নার দোকানের সামনে কানকাটা কাদিরাকে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ পাশের ডোবায় ফেলে দেয়।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন লিয়ন বলেন, “ঘটনার পরদিন নিহতের পরিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের সাতদিন পর আমরা তিন আসামিকে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করি। তাদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...