বিজ্ঞাপন
তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও বেশ কয়েকজন পরিবারের সদস্যের অভিযোগ—আওয়ামী লীগের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচিকে ব্যাহত করতেই হঠাৎ সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। দুই মাস আগের মামলায় দলটির নেতাকর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে বলেও দাবি তাদের।
গত শুক্রবার রাত থেকে ভাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করে পুলিশ। পরদিন শনিবার দুপুর ২টার দিকে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ সময় থানায় স্বজনদের ভিড়ে উপচে পড়ে পুরো এলাকা।
চান্দ্রা ইউনিয়নসহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত দুই দিন ধরে হঠাৎ পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের আগামী সোমবারের শাটডাউন কর্মসূচিকে সফল হতে না দিতে ‘গণগ্রেপ্তার’ করা হচ্ছে।
অভিযান নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল বলেন, “সুনির্দিষ্ট তথ্য, ভিডিও ফুটেজ ও সোর্সের ভিত্তিতেই এসব গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত না থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, ভাঙ্গা থানা, উপজেলা পরিষদ ও হাইওয়ে থানায় ভাঙচুরসহ চারটি মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও পেনাল কোডের ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর-৪ আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ভাঙ্গায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর আন্দোলনে ভাঙ্গা লোকাল ও হাইওয়ে থানাসহ একাধিক সরকারি অফিসে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। ওই সময় চারটি মামলা হয়, যার ধারাবাহিকতায় চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে এ গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...