বিজ্ঞাপন
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিক্ষোভটি প্রথমে জেন-জিরা সংগঠিত করলেও পরে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এতে অংশ নেয়। দেশটির বিরোধী দলও আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানায়, ফলে রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
নগরীর নিরাপত্তা প্রধান পাবলো ভাজকুয়েজ জানান, “আন্দোলন দীর্ঘসময় শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু মুখ ঢাকা একটি দল সহিংসতা শুরু করে।”
তিনি আরও জানান, পুলিশের ১০০ সদস্য আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ বিক্ষোভকারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ক্লডিয়া শেইনবাউম ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখনও দেশে তার সমর্থন উল্লেখযোগ্য হলেও সাম্প্রতিক কয়েকটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়িয়েছে।
মিশোয়াকান রাজ্যের উরুয়াপানের মেয়র মাঞ্জো রদ্রিগেজকে হত্যা করার পর জনরোষ আরও ছড়িয়ে পড়ে। মাদক চোরাচালান গ্যাংদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পরই তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৬৫ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী রোসা মারিয়া আভিলা বলেন, “এই মেয়র ছিলেন এমন এক ব্যক্তি যিনি অপরাধীদের শায়েস্তা করতে পুলিশ সদস্যদের পাহাড়ি এলাকায় পাঠাচ্ছিলেন। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করার সাহস ছিল তার।”
আরেক বিক্ষোভকারী ২৯ বছর বয়সী আন্দ্রেস মাসা জানান, “আমাদের আরও নিরাপত্তা প্রয়োজন।”
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবন ন্যাশনাল প্যালেসের সামনে জড়ো হয়ে ভবনের চারপাশে ঘেরা লোহার বেড়া ভেঙে ফেলেন। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। ফলে শহরের কেন্দ্রস্থলে নেমে আসে তীব্র বিশৃঙ্খলা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...